যেভাবে বিশ্বের সবচেয়ে অপরিষ্কার মানুষ হয়ে উঠলেন এই ইরানি
প্রকাশিত:
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০২:২১
আপডেট:
৫ মার্চ ২০২১ ০৯:১৫

ইরানের অ্যামাউ হাজি। ৮৭ বছরের হাজি শেষ স্নান করেছিলেন ২০ বছর বয়সে। তার পরে ৬৭ বছর ধরে স্নান করেন না তিনি। তিনিই পৃথিবীর সবচেয়ে অপরিষ্কার মানুষ!
সারা গা, গোঁফ-দাড়ি ভর্তি ধুলো ময়লা। কিন্তু তাতে কোনও অস্বস্তি হয় না তাঁর। সেভাবেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ইরানের দেজগাঁর স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকেই জানা যাচ্ছে, হাজি জলে ভয় পান। তিনি মনে করেন, জল গায়ে লাগলে, বা স্নান করলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এমনকি তিনি গোঁফ দাড়িও কামান না। আগুনে পুড়িয়ে পুড়িয়ে ছোট করেন দাড়ি!
এখানেই শেষ নয়। হাজির জীবনযাপনের অন্যান্য স্টাইলও সবার চেয়ে আলাদা। মানুষ স্বাভাবিকভাবে যা কিছু খেতে পছন্দ করেন, তা মুখে রোচে না হাজির। তিনি পছন্দ করেন মরা পশুর পচা মাংস খেতে। বিশেষ করে পর্কুপাইনের মাংস তাঁর ভীষণ প্রিয়। আবার ‘স্মোক’ করতেও ভীষণ পছন্দ করেন তিনি। তবে, সিগারেট নয়। ধুলো জমা এক পাইপে প্রাণীদের মল পুড়িয়ে ‘স্মোক’ করেন তিনি। শীতকালে মাথায় হেলমেটও পরে থাকেন হাজি। এইটুকু উষ্ণতাই যথেষ্ট তাঁর জন্য। বহু বছর আগে যুদ্ধের সময়ে ব্যবহৃত হেলমেটটি কোথায় পেয়েছেন, তা তিনিই জানেন।
বনের পশুপ্রাণীকে পরোয়া করেন না একা গুহায় থাকতে গিয়ে। পৃথিবীর সভ্যতার আলো যেন ছুঁতেই পারেনি তাঁকে। পোশাক-আশাকও তথৈবচ। নিজের মতো খান, ঘুমোন, ঘোরেন– তাঁকে দেখলে মনে হয় যেন কোনও আদিম যুগের গুহাবাসী মানুষ আচমকা পৌঁছে গেছেন ২০২১ সালে!
তবে এমনটা অকারণে হয়নি। তেহরানের বাসিন্দাদের থেকেই জানা যায়, তরুণ বয়সে এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে হাজির জীবনে। ঠিক কী ঘটেছিল, তা সঠিক ভাবে বলতে পারেন না কেউই, তবে পরিবারের সকলকে হারিয়ে ফেলেন তিনি। হারিয়ে ফেলেন প্রেমিকাকেও। এর ফলে মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েন তিনি, যে জীবনের বাকি দিনগুলো একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন তখন থেকে। বাড়িতে থাকেন না তখন থেকেই। জনবসতি থেকে দূরে, বড় বড় গর্তে, গুহায়, একা একা এভাবেই থাকেন তিনি।
বিষয়:

Business model of Education and Marx's Capital

অন্যরকম যুদ্ধের সেনাপতি অ্যাসাঞ্জ

অপেক্ষায় তাকিয়ে আছে দুশো বছর বিশ্বের অন্যতম নৃশংস সিরিয়াল কিলার

ওয়েব গ্যালারিতে নিউটনের নোটবুক

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: